ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
শনিবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানায় বাম জোট।
একই সঙ্গে মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ছাত্রনেতাদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘মুশতাক আহমেদের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাকে স্বাধীন মতপ্রকাশের অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নয় মাস বন্দি রাখা হয়। হাই সিকিউরিটি প্রিজনার তকমা দিয়ে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মুশতাকের জামিন পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তাকে হত্যার দায় ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারকে নিতে হবে।’
আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুশতাক আহমেদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দমনে পুলিশ যে জুলুম চালিয়েছে তাতে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শাহবাগে প্রতিবাদ মিছিলে হামলা করে ছাত্রদের যারা রক্তাক্ত করেছে তাদের বিচার এদেশের জনগণের আদালতে হবে।’
সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, ইউসিএলবির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আমেনা আক্তার ও বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা রাশেদ শাহরিয়ার।